সেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও, কক্সবাজার ০৫ ফেব্রুয়ারী :::
কক্সবাজার সদরে বৃহত্তর ঈদগাঁওতে ৩৫ ব্যবসায়ী নিয়ন্ত্রণ করছে অর্ধশতাধিক মাদক স্পট। এসব ব্যবসায়ীর হাত ধরেই ঈদগাঁও এখন মাদকের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে ইয়াবা, হেরোইন, মদ, গাঁজাসহ হরেক রকম মাদকদ্রব্য। পুরুষের সাথে মাদক ব্যবসা ও সেবনে জড়িয়ে পড়েছে নারীরাও। প্রতিদিন কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকার মাদক বিক্রি করা হয়। মাদক বিকিকিনির ছত্রছায়ায় রয়েছে চেনাজানা বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী।
স্থানীয় পুলিশ ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কক্সবাজার অফিসের দুর্ণীতিবাজ কিছু লোকের সাথে ব্যবসায়ীদের রয়েছে গভীর সর্ম্পর্ক। এ কারণে মাদক ব্যবসা বন্ধ হচ্ছেনা। বরং আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ব্যবসায়ীরা। মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রাসাসন মাঝে মধ্যে অভিযান চালায়। তবে লোক দেখানো অভিযানে চুনোপুঁটিরা ধরা পড়লেও রাঘব বোয়ালেরা রয়ে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে। বরং বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ব্যবসায়ীরা। দিন দিন বিপদগামী হচ্ছে উঠতি বয়সী ছেলেরা। এ বিষয়ে চলে দীর্ঘ অনুসন্ধান। ওঠে আসে নানা তথ্য।
সূত্রে জানা যায়, মাদক বিক্রেতাদের গ্রেফতারে একটি স্পটও চিহ্নিত করেনি পুলিশ। গড়ে তুলেছে মাদক বিক্রির ক্ষুদ্র, মাঝারী ও বড় সিন্ডিকেট। আর এসব জেনেও না জানার ভান করছে স্থানীয় পুলিশ। রহস্যজনক কারনে অধিকাংশ স্পটে অভিযান চালাচ্ছেনা পুলিশ ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। এমন অভিযোগ স্থানীয়দের।
ঈদগাঁওতে বেশ কয়েকজন চিহ্নিত লোক মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ করছে। সেখানে পুরুষের পাশাপাশি নারীও রয়েছে। তথ্যানুসন্ধানে এমন কয়েক জনের নাম পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে অন্যতম হল- ঈদগাঁও দরগাহপাড়ার এজাহার ফকির ও তার পুত্র আবদুল জব্বার, নুরুল হক, একই এলাকার শাহজাহানের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম, মনছুর আলমের স্ত্রী নুর জাহান, মোহাম্মদের স্ত্রী ছেনুআরা বেগম, মৃত হারুনের পুত্র নুরুল হক প্রকাশ দাতভাঙ্গা হারুন ও ঢালার দোকান এলাকার সোনা মিয়া। তাছাড়া গরু বাজার এলাকায় ভ্রাম্যমান হিসাবে মাদক বিক্রেতা হিসাবে পরিচিত দরগাহ পাড়ার কাশেম আলীর পুত্র আবদুল গফুর। পোকখালীর মুসলিম বাজারে ফরিদুল আলম প্রকাশ ফরিদ, ইসলামাবাদ টেকপাড়ার সুজন কর্মকার প্রকাশ নাইতা, আবু শামার পুত্র ছৈয়দ্ আলম, পোকখালীর আবুল ফজল পাড়ার মনছুর আলম প্রকাশ পানি মনছুর, ইসলামাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন উত্তর পার্শ্বে দুদুমিয়া প্রকাশ দুদু মিকার, উত্তর বাঁশঘাটা জামে মসজিদের উত্তর পার্শ্বে ধলামিয়া প্রকাশ ধইল্যা ও তার স্ত্রী, মালেশিয়ার প্রবাসী সিরাজের স্ত্রী খতিজা প্রকাশ জাহানারা, বাঁশঘাটা ব্রীজের উত্তর পার্শ্বে হরিপুর রোডস্থ হাজেরা খাতুন, পূর্ব ইউছুপেরখীল লম্বা মুরার নিকটস্থ শামশুল আলম ও তার স্ত্রী রেহেনা প্রকাশ রানু, হরিপুর এলাকার হোছনের স্ত্রী জুনি, মৃত বাচা মিয়ার পুত্র হাফেজ আহমদ, বাঁশঘাটার জাফর ফকিরের স্ত্রী জোহরা বেগম, জালালাবাদ বাজার সংলগ্ন সুপারির গলির সুলাইমানের স্ত্রী শাহেনা প্রকাশ শাহানু, সওদাগর পাড়ার শফি আলমের স্ত্রী মোহছেনা প্রকাশ মছুনি, জাহেদা, মনজুর সওদাগরের বাড়ী সংলগ্ন এলাকার মৃত কবির আহমদের পুত্র মতি, সওদাগর পাড়ার নদীর পাড় এলাকার শুক্কুর প্রকাশ আজিম্যা শুক্কুরের পুত্র হাছান, লালমিয়া, ইসলামাবাদ পশ্চিম গজালিয়ার বাম বাগান এলাকার ইছমাইল, নতুন মসজিদের উত্তর পার্শ্বে আবুল হোসেন প্রকাশ আবুলু, হাছান কোম্পানীর বাসার পাহাড়ের উপর খোরশেদ আলম প্রকাশ খুশি, ফকিরা বাজারের পূর্ব পার্শ্বে ফরিদুল আলমের পুত্র নাঈমুদ্দীন, একই এলাকার ছাদেকের স্ত্রী গোলজার, ইসলামাবাদ উত্তর পাহাশিয়াখালী এলাকার পানের দোকানদার ভুট্টু।
পাঠকের মতামত: